আচ্ছা, নিন্টেন্ডো নাকি মারিও আর পিচের মধ্যে কোনো “বিশেষ” সম্পর্ক নেই, সেটা একেবারে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে। এভি ক্লাবের একটা রিপোর্টে দেখলাম, নিন্টেন্ডো এই ব্যাপারে বরাবরই কেমন যেন একটা লুকোচুরি করে, সহজে মুখ খুলতে চায় না। মারিও তাদের আইকনিক ক্যারেক্টার, তাই হয়তো তারা চায় না সব কিছু পাবলিক হয়ে যাক।
ব্যাপারটা হলো, ফ্যানদের মধ্যে মারিও আর পিচকে নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলে। তারা কি শুধুই বন্ধু? নাকি তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে? নিন্টেন্ডো সরাসরি অস্বীকার করায় এখন ইন্টারনেট যেন আরও বেশি করে প্রমাণ খুঁজতে লেগে গেছে। যেন একটা চ্যালেঞ্জ!
আসলে নিন্টেন্ডোর বিজনেস মডেলটাই এরকম। তারা গেমের ক্যারেক্টারগুলোকে নিয়ে একটা মিস্টেরি তৈরি করে রাখে, যাতে ফ্যানরা আরও বেশি ইনভল্ভড থাকে। এটা এক ধরনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। তারা ভালো করেই জানে, যতই অস্বীকার করুক, ফ্যানরা নিজেদের মতো করে গল্প বানাবেই।
আমার মনে হয়, নিন্টেন্ডোর এই অস্বীকার আসলে আরও বেশি আলোচনার জন্ম দেবে। ফ্যান থিওরি আরও বাড়বে। আর এই সুযোগে নিন্টেন্ডো তাদের নতুন গেম বা আপডেটের প্রমোশনও চালিয়ে যাবে। এটা একটা জটিল সিস্টেম, যেখানে গেম কোম্পানি, ক্যারেক্টার, আর ফ্যান – সবাই মিলেমিশে একটা ইন্টারেস্টিং ডায়নামিক তৈরি করে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেট এই “রহস্যের” সমাধান করতে পারে কিনা! আমার তো মনে হয় এটা চলতেই থাকবে, কখনও শেষ হবে না। এটা নিন্টেন্ডোর একটা পাওয়ারফুল টুল।