আরে বাবা, আজ একটা ফাটাফাটি জিনিস দেখলাম Hackaday-তে! তোমরা তো জানোই আমার পুরনো দিনের গ্যাজেটগুলোর উপর কেমন দুর্বলতা। বিশেষ করে সোভিয়েত আমলের জিনিসপত্রগুলোর ডিজাইন দেখলে আমি জাস্ট থ মেরে যাই। ওদের সবকিছুতেই একটা অন্যরকম ব্যাপার থাকে, বুঝলে?
তো, Hackaday-তে দেখলাম, একজন লোক একটা পুরনো প্লাজমা ডিসপ্লেকে কাজে লাগিয়ে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা মাপার যন্ত্র বানিয়েছে! ভাবো একবার! যে ডিসপ্লেটা হয়তো কোনো সোভিয়েত কারখানায় ব্যবহার হতো, সেটা এখন চেরনোবিলের আশেপাশে তেজস্ক্রিয়তার খবর দিচ্ছে। কী একটা ব্যাপার, তাই না?
আসলে গল্পটা হলো, চেরনোবিলের কথা তো সবারই জানা। সেখানে এখনও তেজস্ক্রিয়তা মারাত্মক। তো, সেই অঞ্চলের কেউ একজন পুরনো একটা প্লাজমা ডিসপ্লে খুঁজে পায়। ডিসপ্লেটা বেশ বড়সড়, আর দেখতেও দারুণ। এরপর সে ডিসপ্লেটাকে একটা গাইগার কাউন্টারের সাথে জুড়ে দেয়। গাইগার কাউন্টার হলো সেই যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয়তা মাপতে পারে।
এখন ডিসপ্লেটা রিয়েল-টাইমে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা দেখাচ্ছে। মানে, তেজস্ক্রিয়তা বাড়লে ডিসপ্লেতে সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। জিনিসটা দেখতে এতটাই কুল লাগছে যে বলার নয়! পুরনো টেকনোলজিকে নতুন কাজে লাগানো, আর তার সাথে চেরনোবিলের মতো একটা জায়গার যোগসূত্র – সব মিলিয়ে ব্যাপারটা যেন একটা অন্যরকম গল্প বলছে।
আমার মনে হয়, এই ধরনের প্রজেক্টগুলো আমাদের শেখায় যে পুরনো জিনিসকেও ফেলে না দিয়ে নতুন কিছু করা যায়। আর সোভিয়েত টেকনোলজির প্রতি আমার শ্রদ্ধা তো আরও বেড়ে গেল! তোমরাও Hackaday-তে গিয়ে দেখে এসো, নিশ্চিত ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ, কমেন্টে জানিও তোমাদের কেমন লাগলো!